পাকিস্তানি ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া বললেন, অনেকেই আমার ধর্ম পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছিল! কিন্তু …

পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া (Danish Kaneria) আরও একবার ওনার সাথে ধর্ম নিয়ে প্রতারণা হওয়ার কথা তোলেন। উনি এও বলেন যে, পাকিস্তানে অনেকবার ওনার ধর্ম পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও, যারা ওনার ধর্ম পরিবর্তন করতে চাইছিল তাঁরা সফলতা পায়নি। কানেরিয়া নিজের সাথী ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের (Shoaib Akhtar) খুব প্রশংসাও করেন। এছাড়াও উনি নিজের দেশ আর পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের সমালোচনা করেন।

প্রাক্তন পাকিস্তানি লেগ স্পিনার দানিশ কানেরিয়া #AskDanish সেশনে কথা বলেন, আর সেখানে তিনি ওনার প্রশংসকদের সামনে ওনার সাথে ধর্ম নিয়ে হওয়া প্রতারণা হওয়ার কথা তুলে ধরেন। অমন গুল নামক একটি ট্যুইটার ব্যাবহারকারীর কমেন্ট করেন, ‘আপনি ইসলাম কবুল করে নিন। ইসলাম ছাড়া কিছুই নেই। দয়া করে আপনি ইসলাম কবুল করে নিন।” এরপর দানিশ কানেরিয়া উত্তর দেন, ‘আপনার মতো অনেকেই চেষ্টা করেছিল আমার ধর্মপরিবর্তন করার। কিন্তু কেউ সফল হতে পারেনি।”

দানিশ কানেরিয়া একটি প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি পাকিস্তানে নিজেকে অসুরক্ষিত মনে করি। এছাড়াও উনি বলেন, আমি হিন্দু হিসেবে গর্ববোধ করি। দানিশ এও বলেন যে, আমার দলের সঙ্গীরা আমার সাথে দুর্ব্যবহার করত। আমি খুব শীঘ্রই তাঁদের নাম সার্বজনীন করব।

দানিশের এক ফ্যান ওনাকে শোয়েব আখতারকে নিয়ে প্রশ্ন করে। সে বলে, শোয়েব আখতার আপনাকে শিরোনামে এনেছে। এটার পর আপনার কেমন লাগছে? এই প্রশ্নের উত্তরে দানিশ বলেন, ‘ওনার কথা ওনার বলের মতই ধারালো। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, আমাকে পিসিবি থেকে কোন সমর্থন করা হয়নি। তাঁরা আমার সাথে কথা বলতেই রাজি না। আমি পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হওয়ার সাজা পাচ্ছি।”

দানিশ কানেরিয়া নিজের মামা অনিল দলপতের পর পাকিস্তানের তরফ থেকে ক্রিকেট খেলা দ্বিতীয় হিন্দু খেলোয়াড়। উনি পাকিস্তানের হয়ে ৬১ টি টেস্ট আর ১৫ টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল। ওনার উপর স্পট ফিক্সিং এর অভিযোগ উঠেছিল। এরপর ওনার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

শারজিলের বয়ানে প্রভাবিত হয়েছিল নাবালক! একদিন আগে ১০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিল বন্দুক

দেশের রাজধানী দিল্লীর জামিয়া নগর (Jamia) এলাকায় সংশোধিত নাগরিকতা আইনের (CAA)  বিরোধিতা করা প্রদর্শনকারীর উপর গুলি চালানো গ্রেটার নয়ডার নাবালক বাসিন্দার কোন অনুতাপ নেই। শুক্রবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, সে শাহিনবাগে চলা প্রদর্শনের ভিডিও দেখত। পুলিশ সুত্র অনুযায়ী, নাবালক ওই ভিডিও দেখে প্রভাবিত হয়েছিল। আর সে প্রদর্শনকারীদের শিক্ষা দিতে চাইছিল।

সে জানায়, টিভি কভারেজ, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং অন্যান্য মাধ্যম গুলো দিয়ে শাহিনবাগের (Shaheen Bagh) রাস্তা বন্ধ হওয়ার কারণে মানুষের সমস্যার কথা জানতে পেরেছিল। আর সেটা দেখে সে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। আর তাঁর জন্য সে তাঁর বন্ধুদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকায় বন্দুক কিনে প্রদর্শনকারীদের সামনে গিয়ে গুলি চালিয়ে দেয়। জুভেনাইল অ্যান্ড জাস্টিস বোর্ড নাবালককে ১৪ দিনের Judicial custody তে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানায়, তাঁর সঠিক বয়স জানার জন্য বোর্ড গঠন করা হবে।

নাবালক অভিযুক্ত পুলিশকে জানায় যে, সে জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র শারজিল ইমামের (Sharjeel Imam) দেশ বিরোধী বয়ান শুনে ক্ষুব্ধ ছিল। অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকেরা জানান, সে সেখানে হাওয়ায় ফায়ারিং করে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করতে চাইছিল। কিন্তু সোজাসুজি তাঁর গুলি চলে যায়।

অপরাধ দমন শাখা বৃহস্পতিবার দুপরের পর তাঁকে দিল্লী গেটে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পেশ করে। তাঁকে ২৮ দিনের জন্য ‘বাল সুধার গৃহ”তে পাঠিয়ে দেয়। পুলিশ তাঁর সঠিক বয়স জানার জন্য একটি বোর্ড গঠন করেছে। আরেকদিকে, গুলি কাণ্ডের তদন্তের জন্য স্থানীয় নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি থানা পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছে।

 

সম্ভবত নতুন বাজেটে প্রয়োগ হতে পারে চাণক্য নীতি! GDP কে ৫ ট্রিলিয়ন করতে জোর দেবে কেন্দ্র

ভারতবর্ষের একজন মহান অর্থনীতিবিদ ছিলেন চাণক্য, যিনি তার সময়ে ভারতকে আর্থিকদিক থেকে শক্তিশালী করতে মুখ্য ভুমিকা পালন করেছিলেন। ওই সময় ভারত বিশ্বকে আর্থিক দিক থেকে নেতৃত্ব দিত। একবার আয়কর (Income tax) নিয়ে চাণক্য ও চন্দ্রগুপ্তের মধ্যে তর্ক বেঁধেছিল। সেই সময় চন্দ্রগুপ্ত ছিলেন রাজা, অন্যদিকে চাণক্য ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। চন্দ্রগুপ্তের দাবি ছিল জনগণের ইনকাম ট্যাক্স বৃদ্ধি করতে হবে। চাণক্য প্রশ্নঃ করলেন, তুমি কেন আয়কর বৃদ্বি করতে চাও। চন্দ্রগুপ্ত বলেছিলেন, আমি সমাজসেবা করতে চাই তাই আরো অর্থের প্রয়োজন, বেশি রেভিনিউ সংগ্রহ করতে হবে। তখন মহা পন্ডিত চাণক্য বলেছিলেন, রি ভুল কখনো কত না, কোনো সমাজে মোট উৎপাদনের ৫% এর বেশি ট্যাক্স হওয়া উচিত নয়। চাণক্য বলেছিলেন এখন আমাদের ট্যাক্স হার ৫% লাগু আছে, তাই সংগ্ৰহ বৃদ্বি করতে হলে পরিবেশ এমন সৃষ্টি করো যাতে ব্যাবসা দ্বিগুন হয় এতে ট্যাক্সও দ্বিগুন আসবে।

এখন দুঃখের বিষয় এই যে, ইংরেজরা আসার পর থেকে এখনও অবধি ভারত থেকে ট্যাক্স এর সিস্টেম সম্পূর্ণ জনতা বিরোধী হয়ে উঠেছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নানা অর্থশাস্ত্রীর বই পড়ানো হয় তবে দেশের মহাপন্ডিত চাণক্যকে নিয়ে পড়ানো হয় না। তবে সম্ভবত এবার দেশে চাণক্য নীতি লাগুর প্রয়োজন পড়েছে। কারণ কেন্দ্র সরকার GDP কে খুব কম সময়ে ৫ ট্রিলিয়ন অবধি নিয়ে যাওয়ার সিধান্ত নিয়েছে।

মোদীর সরকার ২.০ এর প্রথম বাজেট ১ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আজ হতে চলেছে। বাজেট এমন সময় আসতে চলেছে যখন বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি শ্লো ডাউন রয়েছে। কেন্দ্র সরকার ২০২৪ অবধি ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি করার একটা টার্গেট নিয়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে এই উচ্চতা জয় বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই কঠিন হবে। তবে সরকারের নীতি যে দেশকে আর্থিকদিকে শক্তিশালী করতে সক্ষম তা বিগত ৫ বছরে প্রমানিত হয়েছে।

Narendra Modi

৭১ বছরে যেখানে ২ ট্রিলিয়ন ইকোনমি ছিল সেখানে মাত্র ৫ বছরের মধ্যে মোদী সরকারের নেতৃত্বে দেশ ১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনোমি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। এখন দেশ ৩ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এবার ২০২৪ অবধি কিভাবে দেশ ৫ ট্রিলিয়নে পৌঁছাবে তার জন দেশের বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিশেষ করে বাজেটে ট্যাক্স সিস্টেম কিভাবে লাগু হচ্ছে তা দেশের আর্থিক ভবিষ্যত নির্ধারিত করবে। একই সাথে মধ্যম বর্গের মানুষজন কতটা ছাড় পাবেন তার উপরেও নজর থাকবে সবার।

CAA-এর সমর্থন করায় হিন্দু ব্যাক্তিকে কুপিয়ে খুন করল মুসলিম দুষ্কৃতীরা! মিডিয়া চুপ! সেকুলার, বুদ্ধিজীবী চুপ!

নামেই ভারতবর্ষ হিন্দু বহুল দেশ! কিন্তু এই দেশে সবথেকে অসুরক্ষিত হিন্দুরাই। আর এটা বলার প্রধান কারণ হল, এদেশে সংখ্যাগুরু হিন্দুরাই সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয় সংখ্যালঘুদের হাতে। সেটা ধর্ষণ হোক, হত্যা হোক আর কোন হিন্দু মন্দিরে হামলা অথবা হিন্দুদের পুজো বন্ধ হোক। সবখানেই আক্রান্ত হিন্দুরা।

এবার এরকমই এক ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল তামিলনাড়ু। সেখানে এক হিন্দু ব্যাক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারা হয়। ওই হিন্দু ব্যাক্তির নাম এফ বিজয়া রঘু (৩৯)। উনি বিজেপির সাথে ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত ছিলেন। রঘু তামিলনাড়ুর ত্রিচির বাসিন্দা। রঘু প্রথম থেকেই নাগরিকতা সংশোধন আইনের (CAA) সমর্থন করছিল। আর সেই কারণেই তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান হয়। ধারালো অস্ত্রের কোপে তাঁর গলা কেটে মৃত্যু শয্যায় পাঠিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইসলামিক কট্টরপন্থীরা রঘুর উপরে এই হামলা করে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হামলাকারী ব্যাক্তির নাম মোহম্মদ বাপু। আর দ্বিতীয়জনের এখনো কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। রঘুকে মারা হয়েছে, কারণ সে নাগরিকতা আইনের সমর্থন করেছিল। এটাই প্রথম না! এর আগেও অনেক হিন্দুকে তামিলনাড়ু, কেরল আর কর্ণাটকে এমন নৃশংস ভাবেই খুন করা হয়েছিল।

দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষাব্যাবস্থাকে শক্তিশালী করতে মাঠে নামলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ISRO, সংবেদনশীল এলাকায় রাখা হবে কড়া নজর

ISRO তার স্থানপনের পর থেকেপি দেশের সুরক্ষা ব্যাবস্থাকে কড়া করতে মাঠে নেমেছে। ISRO নিজস্ব GPS সিস্টেম লঞ্চ করেছে যা বর্তমানে এন্ড্রোয়েড স্মার্ট ফোনে থাকা GPS সিস্টেমের জায়গা নিতে চলেছে। ইসরো এই সিস্টেমের নাম দিয়েছে নাবিক বা নাভিক ( NavIC)। এই সিস্টেমযুক্ত এন্ড্রোয়েড ফোনও খুব তাড়াতাড়ি বাজারে আসতে চলেছে।

আসলে GPS সিস্টেম সম্পূর্ন আমেরিকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। দ্বিতীয় এই সিস্টেমগুলির দুটি ভাগ থাকে। একটা ভাগ জন সাধারণের জন্য আরেকটা ভাগ গোপনীয় কাজের জন্য যা সেনা, বিজ্ঞানীরা ব্যাবহার করতে পারে। এখন এই দ্বিতীয়ভাগকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও ISRO দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করতে কাজে লাগাবে।

মূলত দেশের অভ্যন্তরীন সুরক্ষা মজবুত করতে এই পদক্ষেপ নেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও ISRO, দেশের সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে নজর রাখার কাজে ব্যাবহৃত হবে ISRO এর প্রযুক্তি। সরকারী ইচ্ছার দরুন ISRO এর এই প্রযুক্তির সদ্ব্যব্যাবহার সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। এমনিতেই ভারত এখন মহাকাশে যে ক্যামেরা পাঠিয়েছে তাতে সীমান্তের হাই রেজুলেশন ছবি তুলে আনা সম্ভব হবে।

স্পেস সায়েন্টিস্ট, ডিফেন্স রিসার্চ এর লোকজন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এর উপর একসাথে কাজ করছে। সংবেদনশীল এলকাগুলির বিশেষ স্যাটেলাইট ভিউ আনা হবে। সংবেদনশীল এলকাগুলির মধ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সাথে ভারতের লাগোয়া সীমাগুলি পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ওই এলাকার মধ্যে দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ, গো- পাচার ইত্যাদি নানা অবৈধ কর্মকান্ড ঘটে।

Design a site like this with WordPress.com
Get started