সেহবাগের স্কুলে পড়ছে পুলওয়ামার শহীদের সন্তানেরা! ছবি শেয়ার করে জানালেন খোদ সেহবাগ

জম্মু কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) পুলওয়ামায় (Pulwama) এক বছর আগে ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ এ সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ানদের উপর জঙ্গি হামলায় ৪০ জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। এই হামলায় শহীদ হওয়া ২ দুই জওয়ানের বাচ্চা প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেওয়াগ (Virender Sehwag) এর স্কুলে পড়াশুনা করছে।

শেওয়াগ বৃহস্পতিবার ট্যুইটারে ওই দুই বাচ্চার ছিবি শেয়ার করেন। ছবিতে এক বাচ্চাকে ব্যাট করতে দেখা যাচ্ছে, আর দ্বিতীয় বাচ্চাটি বল করছে।

শেওয়াগ ছবি শেয়ার করে লেখেন, এই দু ছবিতে প্রথমটিতে অর্পিত সিং ব্যাট করছে, সে পুলওয়ামায় হামলায় শহীদ জওয়ান রাম উকিল এর ছেলে। আরেকদিকে, দ্বিতীয় ছবিতে বল করছে রাহুল সোরেং, সে পুলওয়ামা হামলায় শহীদ হওয়া জওয়ান বিজয় সোরেং এর ছেলে।

ভারতের জন্য ২৫১ টি ওয়ানডে, ১০৪ টি টেস্ট আর ১৯ টি টি-২০ খেলা সেহবাগ আরও লেখেন, আমি গর্ব বোধ করছি যে, এরা আমার স্কুলে পড়াশুনা করে। তিনটি ফর্মাটে ১৭ হাজার ২৫৩ ইন্টারন্যশানাল রান বানানো শেওয়াগ এর এই স্কুল হরিয়ানায় আছে। সে মাঝে মধ্যেই স্কুলে যায় আর প্রাক্তন ক্রিকেটারদের সেখানে আমন্ত্রিত করেন।

বড় খবরঃ কাফিল খানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ যোগী সরকারের! জারি করা হল NSA

আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে (AMU) উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে ডঃ কাফিল খানের (Kafeel Khan) বিরুদ্ধে যোগী সরকার (Yogi Sarkar) বড় অ্যাকশন নেয়। উত্তর প্রদেশ পুলিশ আর প্রশাসন ডঃ কাফিল খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা আইন (NSA) অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে। শুক্রবার ডঃ কাফিল খান জামিনে মুক্তি পেতেন, কিন্তু NSA লাগু হওয়ার পর ওনার মুশকিল আবারও বেড়ে গেছে।

ডঃ কাফিল খানের বিরুদ্ধে গত ১২ই ডিসেম্বর আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিকতা সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে চলা প্রদর্শনে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়া অভিযোগ উঠেছিল। উত্তর প্রদেশ স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স জানুয়ারিতে কাফিল খানকে মুম্বাই থেকে গ্রেফতার করেছিল। ডঃ কাফিল খানকে গ্রেফতার করার জন্য উত্তর প্রদেশের এসটিএফকে নিযুক্ত করার জন্য প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও সেই সময় পুলিশ জানিয়েছিল যে, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই কাফিল খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ অনুযায়ী, ডঃ কাফিল খানের উস্কানিমূলক ভাষণের জন্যই ওনাকে গ্রেফতার ক্রয়া হয়েছিল। ওনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। উত্তর প্রদেশ এসটিএফ দ্বারা গ্রেফতার করার পর ডঃ কাফিল খান বলেহচিলেন, ‘আমাকে গোরখপুরে শিশু মৃত্যু নিয়ে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছিল। আবার আমাকে দোষী বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে অনুরোধ করছি যে, আমাকে যেন মহারাষ্ট্রেই থাকতে দেওয়া হয়। আমি উত্তর প্রদেশ পুলিশের উপর বিশ্বাস করিনা।”

ডঃ কাফিল খান আপাতত মথুরার জেলে আছেন। ওনার আইনজীবী আদালতে ওনার জামিনের আর্জি দিয়েছিলেন, এরপর ১০ই ফেব্রুয়ারি আদালত ওনাকে জামিন দেয়। আদালত ব্যাক্তিগত ৬০ হাজার টাকার বন্ডে শর্ত সাপেক্ষ জামিন দেয়। এরসাথে এটাও বলা হয়, উনি যেন আগামী দিনে এরকম ঘটনার সাথে জড়িত না থাকেন।

ভালোবাসার দিন নয়, ভারতীয়দের জন্য কালো দিবস! আজকের দিনেই ভারত হারিয়েছিল ৪০ জন জওয়ান

দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার, তারিখ 14 ফেব্রুয়ারী 2019 অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন্স ডে এবং সময় বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় মহাসড়কের প্রায় ২৫০০ কর্মী নিয়ে   ৭৮ টি বাসে সিআরপিএফের কাফেলাটি যাচ্ছিল। ঠিক সাধারণ দিনের মতোই, সিআরপিএফ যানবাহনের কনভয়টি সেদিন চলেছিল। তবে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে কনভয়টিতে কর্মরত সমস্ত নিরাপত্তাকর্মী সতর্ক ছিলেন। সেদিন রাস্তায় চলাচল স্বাভাবিক ছিল। যখন সিআরপিএফের কাফেলা পুলওয়ামায় পৌঁছেছিল, রাস্তার বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ি CRPF দের কাফেলার সাথে চলমান গাড়িতে ধাক্কা মারে।

সামনে থেকে আসা এসইউভিটি কনফয়টির সাথে সংঘর্ষের সাথে সাথে বিস্ফোরণ ঘটে। সিআরপিএফ জওয়ানরা কিছু বুঝে উঠার আগেই এমনকিছু ঘটে যায় যা ভারতের কালো দিনে পরিণত হয়। বিস্ফোরণের পরেও আতঙ্কবাদীরা গুলি চালাতে শুরু করে, ততক্ষনে CRPF ও পাল্টা গুলি চালায়। CRPF এর পাল্টা আক্রমন দেখে আতঙ্কবাদীরা পলায়ন করে।

বিস্ফোরনবাহী গাড়ির সাথে CRPF এর সংঘর্ষ এতটাই জোরদার হয়েছিল যে ৪০ জন জওয়ান বলিদান হন। ওই দিন দেশের জওয়ানদের রক্ত মাংস সড়কজুড়ে ছড়িয়ে ছিল। যা সমস্থভারতবাসীকে কাঁদতে বাধ্য করেছিল। বহু সেনা আহত অবস্থাতেও ছিলেন যাদেরকে সাথে সাথে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন যা আগে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি অনুকরণ করে ভালোবাসার দিবস হিসেব পালিত হতো তা ভারতীয়দের কাছে অন্ধকারময় কান্নার দিনে পরিণত হয়।

পুলওয়ামা হামলার (Pulwama attack) মাত্র ১২ দিন পরে, ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের বালাকোটে সন্ত্রাসী সংগঠন জাইশ-ই-মোহাম্মদ এর ঘাঁটিগুলিতে বিমান হামলা (এয়ার স্ট্রাইক) চালায়। এই বিমান হামলায় ভারতীয় বিমানবাহিনী ব্যাপক হারে বোমা বিস্ফোরণ করে যে এর সন্ত্রাসীদের আস্তানা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় এবং প্রায় 300 জন সন্ত্রাসীকে উড়িয়ে দেওয়া হয়।

নিজেকে গর্বিত হিন্দু পরিচয় দিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাইবেল বাদ দিয়ে গীতায় শপথ নিয়েছিলেন এই সাংসদ

ভারতীয় সংস্কৃতি এতটাই প্রভাবিত যে, দেশ ছাড়ার পরেও কোন মানুষ এই সংস্কৃতি থেকে আলাদা হতে পারেনা। আর সেটারই এক নিদর্শন দিলেন ব্রিটেনের রাজনেতা। এই নেতা একটি ইসাই দেশে থেকেও সর্বদা ভারতের সন্মান বারিয়েছেন। এই রাজনেতা যখনই ব্রিটেনের সাংসদ হন, তখন শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ভগবত গীতার উপরে হাত রেখে শপথ গ্রহণ করেন। এই নেতার নাম ঋষি শৌনক (rishi sunak)। ইনফোসিস (Infosys) এর ফাউন্ডার নারায়ণ মূর্তি এর জামাই ঋষি সম্প্রতি ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী হয়েছেন।

ঋষি শৌনক দ্বারা ভগবত গীতায় হাত রেখে শপথ নেওয়ার জন্য অনেক ব্রিটেনের নাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তা স্বত্বেও যখন এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ঋষির কাছে প্রশ্ন করে, তখন ঋষি গর্বের সাথে বলে আমি ব্রিটেনের নাগরিক, কিন্তু আমার ধর্ম হিন্দু। আমার ধার্মিক আর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ভারতীয়। আমি গর্ব করে বলি আমি হিন্দু। আর আমার পরিচয়ও হিন্দু।

আপনাদের জানিয়ে দিই, ঋষি শৌনক ব্রিটেনের রাজনীতিতে অনেকদিন ধরেই সক্রিয়। ২০১৭ সালে শৌনক দ্বিতীয়বার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৩৯ বছর বয়সী ঋষি অর্থমন্ত্রী রুপে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পর দ্বিতীয় সবথেকে বড় পদে আছেন।

অর্থমন্ত্রী রুপে ওনার নতুন ঠিকানা ১১ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট, যেটা প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসনের অফিসের পাশেই। শৌনক ইয়র্কশারায়ের রিচমন্ড থেকে সাংসদ। ২০১৫ সালে প্রথমবার ব্রিটিশ সংসদে পৌঁছান ঋষি নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতার সাথে বিয়ে করেছিলেন। ওনাকে ক্ষমতায় থাকা কনজারবেটিভ পার্টির উজ্জ্বল নক্ষত্র বলে মানা হয়।

আপনাদের টাকা নিয়ে নিন! হাতজোড় করে কাতর আবেদন বিজয় মালিয়ার!

ম্যাচ ফিক্সিং কান্ডে অভিযুক্ত সঞ্জীব চাওলার ভারতে প্রত্যার্পনের পর মানসিক চাপে পড়া পলাতক মদ ব্যাবসায়ি বিজয় মাল্যর (Vijay Mallya) সুর বদলে গেছে। বৃহস্পতিবার প্রত্যর্পনের মামলায় ব্রিটিশ হাইকোর্ট (British High Court) রায় সুরক্ষিত রাখার পর মাল্য কাঁদো কাঁদো সুরে আরও একবার ভারতীয় ব্যাংক গুলোকে পয়সা ফেরত নেওয়ার আবেদন করে। মদ ব্যাবসায়ি নামে খ্যাত মাল্য ব্যাংক গুলোকে আবেদন করে বলে, নিজের ১০০ শতাংশ মূলধন ফেরত নিয়ে নিন।

শুনানি শেষ হওয়ার পর মাল্য আদালতের বাইরে গিয়ে বলে, আমি ব্যাংকের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছি যে, তাঁরা নিজেদের মূলধন যেন তৎকাল ফেরত নিয়ে নেয়। মাল্য জানায়, ইডি আর সিবিআই এই দুই সংস্থা তাঁর সম্পত্তি নিয়ে লড়াই করছে আর এই প্রক্রিয়ায় তাঁর সাথে উচিৎ ব্যবহার করা হচ্ছে না।

মাল্য জানায়, ব্যাংকের অভিযোগ আমি টাকা ফেরত দিচ্ছি না, ইডি আমার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে। আমি পিএমএলএ (মানি লন্ডারিং বিরোধী আইন) অনুযায়ী কোন অপরাধ করিনি, কিন্তু ইডি আমার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে।

মাল্য বলে, আমি বলছি যে দয়া করে আপনারা আপনার টাকা ফেরত নিয়ে নিন। ইডি বলছে এই সম্পত্তি গুলোতে তাঁরা দাবি করেছে। আর এর জন্য ইডি একদিকে আর ব্যাংক আরেকদিকে সম্পত্তির জন্য লড়ছে। মাল্যর কাছে ভারতে ফিরে আসার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমার সেখানেই থাকা উচিৎ যেখানে আমার পরিবার আছে। যদি সিবিআই আর ইডি সুলভ ব্যবহার করত, তাহলে কাহিনী অন্যরকম হত। বিগত চার বছর ধরে ওঁরা যা করছে, সেটা একদম অনুচিত।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তকে প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে সাজা পাগল রাজা কিম জং এর দেশ উত্তর কোরিয়ায়!

করোনাভাইরাসের (Coronavirus) ভয়ে চীন থেকে দেশে ফেরা এক ব্যাক্তিকে উত্তর কোরিয়ায় (North Korea) প্রকাশ্যে গুলি করে মারা হল। শোনা যাচ্ছে যে, ওই ব্যাক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন, আর ওনাকে সার্বজনীন স্থলে দেখা যায়। এটা নিয়মের বিরুদ্ধে। উত্তর কোরিয়ার পাগলা শাসক চীন থেকে দেশে ফেরা নাগরিকদের জন্য কড়া নিয়ম বানিয়েছে।

মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহে এক ব্যাক্তি কড়া নিয়মের লঙ্ঘন করেন। ওনাকে আইসোলেশন কামরায় থাকা উচিৎ ছিল, কিন্তু তিনি সার্বজনীন স্থলে গিয়ে সেই নিয়মের লঙ্ঘন করেন। বিগত ৩০ দিনে চীন থেকে ঘরে ফেরা সমস্ত উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের আইসোলেশন কক্ষে রাখা হচ্ছিল। আর এরই মধ্যে রেড ক্রস করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করার জন্য উত্তর কোরিয়ার উপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা শীঘ্রই তুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। একটি বয়ানে বলা হয়েছে যে, ‘সেখানে সুরক্ষাত্মক উপকরণ আর টেস্টিং কিটের প্রয়োজন খুব।”

উত্তর কোরিয়া এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রন্তদের সংখ্যা নিয়ে কোন আধিকারিক বয়ান দেয়নি। কিন্তু স্থানীয় মিডিয়া থেকে জানা যায় যে, যাঁদের মধ্যে এই ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিয়েছে তাঁদের ৩০ দিনের জন্য আইসোলেশন কক্ষে থাকতে হবে। সমস্ত সরকারি সংস্থান আর উত্তর কোরিয়ায় থাকা বিদেশীদের জন্য এই নিয়ম লাগু আছে।

গোটা বিশ্বের থেকে আলাদা থাকা উত্তর কোরিয়া চীন থেকে তাঁদের দেশে যাওয়া সমস্ত বিমানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এছাড়াও সেখানে যাওয়া প্রতিটি বিদেশীদের এক সপ্তাহের জন্য আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যটনে নিষেধাজ্ঞা জারি করার সাথে সাথে তাঁরা নিজেদের আন্তর্জাতিক সীমাও বন্ধ করে দিয়েছে।

প্রতিবেশী দেশের মুসলিমদেরও নাগরিকতা দিতে হবে, নাহলে দেশ জুড়ে বড় আন্দোলন হবেঃ চিদম্বরম

কংগ্রেস (congress) নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম (P Chidambaram) দিল্লীর জওহর লাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ (CAA) আর এনআরসি (NRC) সমেত অনেক ইস্যুতেই চর্চা করেন। চিদম্বরম বলেন, নাগরিকতা নিয়ে সংবিধানে লেখা আছে যে, কেউ যারা এদেশে থাকে অথবা ওনার অভিভাবক এদেশের নাগরিক ছিলেন, তাহলে তাঁদের দেশের নাগরিক মানা হবে। উনি বলেন, সংবিধানে নাগরিকতার সাথে জড়িত ধারার শব্দ গুলোকে অন্তিম রুপ দেওয়ার জন্য সংবিধান সভার তিন মাসের সময় লেগেছিল।

চিদম্বরম বলেন, সম্পূর্ণ বিল পাশ করাতে মাত্র তিনদিন সময় লেগেছিল আর নেহরু, আম্বেদকরকে নাগরিকতার সাথে জড়িত ধারা গুলোকে অন্তিম রুপ দিতে তিন মাস সময় লেগেছিল। চিদম্বরম মোদী সরকারে উপরে প্রশ্ন তুলে বলেন, সরকার সংবিধানের প্রাথমিক স্তম্ভ গুলোকে কমজোর করার কাজ করছে। উনি বলেন, ভারত ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকতা দেয়না।

চিদম্বরম বলেন, কংগ্রেস আর বামদের বিরোধ যাঁদের বিলের বাইরে রাখা হয়েছে তাঁদের নিয়ে। যাঁদের নাগরিকতার আওতায় রাখা হয়েছে, তাঁদের নিয়ে না। বিজেপি বলছে, কংগ্রেস প্রতারিত হিন্দু, শিখদের নাগরিকতা দেওয়ার বিরোধিতা করে। এটা মিথ্যে কথা। উনি বলেন, শরণার্থীদের নিয়ে একটি বিস্তৃত আইন হওয়ার দরকার আমার মতে।

চিদম্বরম বলেন, নাগরিকতা সংশোধন আইন অসমের মানুষদের বাইরে বের করার জন্য আনা হয়েছে, ১২ লক্ষ হিন্দুদের ভারতীয় নাগরিকতা দেওয়া আর সাত লক্ষ মুসলিমদের ভারতের বাইরে পাঠানোর জন্য এই আইন আনা হয়েছে।

চিদম্বরম অভিযোগ করে বলেন, মোদী সরকার মুসলিমদের রাজ্য বিহীন করার চেষ্টা করছে। চিদম্বরম অভিযোগ করে বলেন, মুসলিমদের হয়ত দেশের বাইরে করার চেষ্টা করা হবে, নাহলে জোর করে ডিটেশন ক্যাম্পে ঢোকানো হবে। উনি বলেন, যদি এরকম করা হয় তাহলে তখন বড় আন্দোলন হবে। উনি বলেন, আমাদের দাবি হল, প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা সমস্ত ধর্মের মানুষদের ভারতীয় নাগরিকতা দিতে হবে।

অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হলো ভারত! ৪২ টি দেশকে বিক্রি করছে অস্ত্রসামগ্রী

ভারত (India) দেশ দ্রূতগতিতে তার রূপ পরিবর্তন করছে তার সঙ্কেত আবারও পাওয়া গেল। ভারত এর আগে এমন একটি দেশ ছিল যার পুরো অস্ত্র বাইরের দেশ থেকে আসত, ভারত কখনই অস্ত্র রফতানির কথা ভাবেনি বা কখনও অস্ত্র রফতানিকারক দেশও হতে পারবে এটা ভাবেনি। তবে নরেন্দ্র মোদী সরকার অস্ত্র রফতানি করতে অনেক কাজ করেছিল এবং বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল। এর ফলে এখন ভারত বিশ্বের ৪২ টি দেশে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম রফতানি করছে।

মোদী সরকার প্রতিবছর ৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক পণ্য রফতানির লক্ষ্যও রেখেছে, বিশ্বব্যাপী অস্ত্রের বাজার খুব বড়, আমেরিকা এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলির প্রধান কাজ হ’ল অস্ত্র রফতানি করা এবং তাদের জিডিপিতেও এর উল্লেখযোগ্য অংশীদারিত্ব রয়েছে।

ভারত এখন ৪২ টি দেশে অস্ত্র বিক্রি করছে যার মধ্যে এস্তোনিয়া, ইন্দোনেশিয়া, গিনি, ফিলিপাইন, আজারবাইজান, সেশেলিসের মতো দেশ রয়েছে।

রাজ্যসভায় তথ্য প্রদান করে, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীপাদ নায়েক বলেছেন যে অনেক দেশের সাথে অস্ত্র রফতানির কথা রয়েছে এবং কিছু সময়ের মধ্যে ভারত ব্রহ্মোসের মতো অস্ত্রও রফতানি করবে, যা ভারতকে বড় অর্থনৈতিক সুবিধা দেবে।

ভারত সরকারের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিরক্ষা রফতানি পাঁচ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে দেওয়া। । লখনউতে প্রতিরক্ষা এক্সপোর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “আজ বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা পণ্য রফতানিতে ভারতের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি হচ্ছে। ২০১৪ সালে ভারতের প্রতিরক্ষা রফতানি হয়েছিল প্রায় ২,০০০কোটি টাকা। একই সময়ে, এটি গত দুই বছরে প্রায় 17,000 কোটি টাকার প্রতিরক্ষা রফতানি করেছে। এখন টার্গেট আগামী পাঁচ বছরে প্রতিরক্ষা রফতানি ৫ বিলিয়ন ডলার পৌঁছানো।

পাকিস্তানি বংশভূত অর্থমন্ত্রীকে সরিয়ে ভারতীয় বংশভূতকে অর্থমন্ত্রী করল ব্রিটেন

ব্রিটেনের (England) প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন (Boris Johnson) ভারতীয় বংশভূতে রাজনেতা ঋষি শৌনককে (Rishi Sunak) বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী পদের দায়িত্ব দেন। শৌনক ইনফোসিস (Infosys) এর সহ সংস্থাপক নারায়ণ মুর্তির (Narayan Murthy) জামাই। উনি বরিস জনসনের মন্ত্রীমণ্ডলে ভারতীয় বংশভূত দ্বিতীয় বড় মন্ত্রী। ভারতীয় বংশভূত প্রীতি প্যাটেল (Priti Patel) এই সময় ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।

এর আগে পাকিস্তানি বংশভূত সাজিদা জাভেদ ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। উনি সম্প্রতি অপ্রত্যাশিত ভাবে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন।

ডিসেম্বর মাসে সাধারণ নির্বাচনে জনসনের নেতৃত্বে কনজারবেটিভ পার্টি বিপুল ভাবে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল। আর প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবার নিজের মন্ত্রী মণ্ডলে বড় রদবদল করেন।

ঋষি সৌনাক প্রধানমন্ত্রী দফতরের পাশে ১১ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে কাজ চালাবেন। ৩৯ বছর বয়সী শৌনাক ব্রিটেনের ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড থেকে সাংসদ হয়েছেন। উনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি, দর্শন ও অর্থনীতি নিয়ে পড়াশুনা করেন। এই সাংসদের মা একটি ওষুধের দোকান চালান আর বাবা একজন চিকিৎসক। দুই ভারতীয় বংশভূত ব্রিটেনের দুটি উচ্চ পদে বসার পর ভারত আর ব্রিটেনের সম্পর্ক যে আরও মজবুত হতে চলেছে সেটা বলাই বাহুল্য।

দিল্লী হারলেও দেশের স্বার্থে CAA-NRC নিয়ে পিছু হটবে না মোদী সরকার! স্পষ্ট ইঙ্গিত অমিত শাহ-র

দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Election) আম আদমি পার্টির (AAP) বাম্পার জয় আর বিজেপির (BJP) মাত্র সাতটি আসনে গুটিয়ে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ (Amit Shah) মুখ খোলেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ একটি ব্যাক্তিগত চ্যানেলের অনুষ্ঠানে দিল্লী নির্বাচনের সাথে যুক্ত একটি প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা নির্বাচন শুরু হার আর জিতের জন্য লড়িনা।

উনি বলেন, বিজেপি এমনই একটা দল যারা বিচারধারার জন্য লড়াই করে। অমিত শাহ দিল্লীতে বিজেপির হারের পরেও সিএএ আর এনআরসি নিয়ে পিছু হটবেন না বলে ইঙ্গিত দেন। উনি বলেন CAA আর NRC কে নির্বাচনে জয় অথবা হার দিয়ে বিচার করা উচিৎ না।

আপনাদের জানিয়ে রাখি সিএএ এর বিরুদ্ধে দিল্লীর শাহিনবাগে ধরনায় বসার পর দিল্লীর রাজনৈতিক পরিসংখ্যান অনেকটাই বদলেছে। একদিকে শাহিনবাগ এলাকায় যেই বিধানসভায় পড়ে, সেখানে আম আদমি পার্টি বিপুল জয় পেয়েছে। আরেকদিকে শাহিনবাগে ধরনা প্রদর্শন এবং সিএএ এর প্রতিবাদে দিল্লীর মুসলিম এলাকা গুলোতে এবার ভোট পড়েছে চোখে পড়ার মতো।

Design a site like this with WordPress.com
Get started